দেশের পোলট্রি খাতে সংকট যেন লেগেই আছে। ডিম ও মুরগির দামে চলমান অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণে সরকারনির্ধারিত মূল্য কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়ার পর এবার নতুন করে দেখা দিয়েছে এক দিনের মুরগির বাচ্চা সরবরাহ সংকট। প্রান্তিক খামারিদের অভিযোগ, করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো...
আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
আগামী রমজানে খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে ট্যারিফ ভ্যালু যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। কমিশন বলছে, খেজুরের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১৫ শতাংশ এবং অগ্রিম কর ১০ থেকে ৩ শতাংশ করা হোক।
গত এক মাসের ব্যবধানে দেশে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৭ থেকে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলায় বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে আমনের উৎপাদন মারাত্মক ব্যাহত হয়েছে, যা চালের ঘাটতি তৈরির শঙ্কা বাড়াচ্ছে। এ পর্যায়ে স্বস্তি নেই আন্তর্জাতিক বাজারেও।
বিশ্বের বৃহত্তম চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত সম্প্রতি সেদ্ধ চালের ওপর থেকে রপ্তানি শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। ফলে কমতে শুরু করেছে বিশ্ববাজারে চালের দাম। খবর নিক্কেই এশিয়া।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নেওয়া ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ শতাংশ কমছে। ব্যাংকগুলোর তারল্যসংকট দূর ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন পদক্ষেপে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড লুটপাট ও অনিয়মের কারণে ধুঁকছে। ব্যবসায় ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দূরের কথা, উল্টো নেতিবাচক হয়েছে কয়েক গুণ। দায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সম্পদের চেয়েও বেশি। অর্থসংকট প্রকট। এতে করে গ্রাহকের দাবি নিষ্পত্তি করতে পারছে না কোম্পানিটি।
দেশে ডলার সরবরাহে সংকট ও দামে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি মূল্যস্ফীতিকে উসকেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকেন্দ্রিক বৈশ্বিক অস্থিরতা আরও উসকে দিয়েছে বাজারে ডলারের এই অস্থিশীলতাকে। ফলে দিন দিন ডলার আরও দামি হয়েছে এবং টাকার মান আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। এই পরিস্থিতি জ্বালানি, সার, তেল, শিশুখাদ্যসহ সব ধরনের আমদানি খরচে
দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে বাজারে (মানুষের হাতে) টাকার জোগান কমাতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই লক্ষ্যে সুদহার বাড়িয়ে টাকার জোগান কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার (রেপো রেট) দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বেসরকারি খাতের ৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঘাটতি ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এই ব্যাংকগুলো হলো ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, কমার্স ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক...
এখন থেকে অর্থনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক সূচকের সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, বাড়িয়ে-কমিয়ে তথ্যের গরমিল বা এই তথ্য প্রকাশের কোনো সুযোগ রাখা হবে না। মূল্যস্ফীতি ও জিডিপির হালনাগাদ প্রকৃত তথ্যই এখন থেকে
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের অপেক্ষায় থাকা আমদানি করা ভোগ্যপণ্য, পোশাকশিল্পের কাঁচামাল, রাসায়নিক এবং হিমায়িত পণ্যের কনটেইনারের জট তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতার জেরে সবকিছু বন্ধ থাকায় এই পরিস্থিতি
দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঠেকাতে ইন্টারনেটের গতি কমানোয় বুধবারে বড় দরপতনের ধাক্কা সামলে নিয়েছে পুঁজিবাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার আতঙ্ক কাটতে দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে সূচকের বড় উত্থান ও লেনদেন বেড়েছে।
লাগামহীন খেলাপি ঋণে রীতিমতো ডুবতে বসেছে ব্যাংক খাত। ২০০৯ সালের খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ব্যাংক খাতের দায়সারা কার্যক্রমের কারণেই
অর্থবছরের শুরুতেই জ্বালানি তেল আনা এবং বিদ্যুৎ ও সার কেনায় ব্যাপক তোড়জোড় সরকারের। পাশাপাশি টিসিবির মজুত বাড়াতে আরও সয়াবিন তেল ও ডাল কেনা হচ্ছে। বাজেট ঘোষণার পর প্রথম সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতেই একসঙ্গে এত বিপুল কেনাকাটার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সদ্য প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক লুটপাট, মুদ্রা পাচার ও কর ফাঁকি ঠেকাতে নিজের শক্ত অবস্থান জানাতে পারেননি অর্থমন্ত্রী। উল্টো মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছেন।
পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর হারের ব্যবধান বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছিলেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। কিন্তু কর হারের ব্যবধান না বেড়ে উল্টো আড়াই শতাংশ কমেছে।